এম কে সবুর তালুকদারঃ
আহলান সাহলান মাহে রমজান।
খোশ আমদেদ মাহে রমজান ।।
————————————————
আলহামদুলিল্লাহ । মহান আল্লাহ পাকের অপার অনুগ্রহে আমরা রজব ও শাবান মাসের বরকত পেরিয়ে রহমত মাগফিরাত ও নাজাতের মাস পবিত্র রমজানে পৌছাতে পেরেছি – এজন্য হাজারো শুকরিয়া। এখন আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো কিভাবে আমল করা যায় – নিজের গুনাহ মাফ এবং পিতামাতা আপনজনসহ উম্মতে মুহম্মদির গুনাহ মাফ করানো যায়।
আমরা সাধারণ মুসলমানরাও রমজানের গুরুত্বপূর্ন আমল – সেহরি খাওয়া , রোজা রাখা , ইফতার করা – করানো , তারাবীহ পড়া , পবিত্র কোরআন তেলোয়াত করা ও তেলোয়াত শুনা , জিকির করা , দরুদ পড়া , সদগা – দান খয়রাত করা ইত্যাদি ইত্যাদি আমল গুলো কমবেশি জানি।
আমরা এও জানি এমাসে একটা ফরয আমল ৭০ টি ফরযের সমান ও একটি নফল আমল একটি ফরয আমলের সমান নেকি ।
রমজানের সুসংবাদের পাশাপাশি অনেক হুশিয়ারীও আছে – যেমন যে ব্যাক্তি পবিত্র রমজান মাস পেলো কিন্তু আমল দ্বারা তার গুনাহ মাফ করাতে পারলো না — জান্নাত অর্জন করতে পারলো না তার প্রতি আল্লাহ এর লানত ! তাই ভাই আমাদের সতর্ক হতে হবে – আপ্রান চেষ্টা করতে হবে আমরা আমল করে করে যেনো গুনাহ মাফ করিয়ে নিয়ে জান্নাত অর্জন করে নিতে পারি ।
এমাসে নবি করিম (স:) ৪ টি কাজ বেশি বেশি করার হুকুম করিয়াছেন । ১. বেশি বেশি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু পড়া। ২. বেশি বেশি এস্তেগফার করা -(অস্তাগফিরুল্লাহ….. )। ৩. বেশি বেশি জান্নাত চাওয়া ( আল্লাহুম্মা ইন্নি আস আলুকাল জান্নাত )। ৪. বেশি বেশি জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাওয়া( আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনান নার)।
মহান আল্লাহ পাক আমাদের সেভাবে বেশি বেশি আমল করার তৌফিক দান করুক। আমিন।।