1. sadhinbarta2024@gmail.com : admin :
  2. sadhinbarta202444s@gmail.com : স্বাধীন বার্তা ডেস্ক : স্বাধীন বার্তা ডেস্ক
আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ব্যাহত সেবা - স্বাধীন বার্তা - Sadhin Barta
৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ| ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| গ্রীষ্মকাল| রবিবার| সকাল ১০:৪৬|

আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ব্যাহত সেবা

রিপোর্টার নাম
  • আপডেট সময় : শনিবার, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৪,
  • 55 বার পড়া হয়েছে

মুজিবুর রহমানঃ

আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটি উপজেলার প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষের স্বাস্থ্য সেবার শেষ আশ্রয়স্থল। শুধু আজমিরীগঞ্জ উপজলোয়ই নয়, সীমান্তবর্তী উপজেলা হওয়ায় পার্শ্ববর্তী কিশোরগঞ্জ জেলার সাধারণ লোকজনও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি থেকে চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকেন। তবে বর্তমানে বেহাল অবস্থায় রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। নেই প্রয়োজনীয় জনবল ও যন্ত্রপাতি, সংকট রয়েছে চিকিৎসকের। এমতাবস্থায় দ্রুত চিকিৎসক নিয়োগসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি বসানোর দাবী স্থানীয়দের।

যদিও এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সংকটের বিষয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৪ জন চিকিৎসকের বিপরীতে বর্তমানে ১১ জন চিকিৎসক রয়েছেন। এর মধ্যে প্রসুতি সেবায় অতি গুরুত্বপূর্ণ জুনিয়র কনসালটেন্ট গাইনী (সার্জন), জুনিয়র কনসালটেন্ট অ্যানেস্থেসিয়া, জুনিয়র কনসালটেন্ট ডেন্টিস্টসহ ল্যাবের কিছু যন্ত্র, আল্ট্রাসনোগ্রাফি মেশিন, রেডিওগ্রাফার, অপারেশন থিয়েটারের কিছু সরঞ্জামসহ বেশ কয়েকটি পদ শুণ্য থাকায় পরিক্ষা নিরীক্ষাসহ সিজারিয়ান অপারেশন ও বেশ কিছু সেবা রোগীদের দেয়া যাচ্ছেনা। ফলে বাধ্য হয়েই গর্ভবতী নারীদের প্রাইভেট ক্লিনিক অথবা জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে যেতে হচ্ছে। আর এতে করে একদিকে যেমন বেশি অর্থ খরচ হচ্ছে তেমনি বাড়ছে ভোগান্তিও। এছাড়া ও পরিছন্নকর্মী না থাকায় আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে অস্থায়ীভাবে চারজনকে নিয়োগ দিয়ে আপাতত চলছে এই কাজ।

ভূক্তভোগীরা জানান, প্রসূতি সংক্রান্ত যে কোন জটিলতা দেখা দিলেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জেলা সদরে রেফার্ড করে দেন। জেলা সদর থেকে উপজেলাটির অবস্থান দূরবর্তী হওয়ায় এতে বিপাকে পড়তে হয় রোগী স্বজনদের। তারা বলেন, শুধু প্রসূতি সংক্রান্ত নয়, হাত-পায়ে কিংবা বিভিন্ন আঘাত জনিত কারণে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসলে এক্সরেসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা না থাকায় সেইসব রোগীদেরও দেয়া হয় রেফার্ড। ফলে জীবন বাচাঁতে বাধ্য হয়েই রোগীদের জেলা সদরে যেতে হয়। ভূক্তভোগীরা বলেন, যদি আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় সবকিছু থাকতো তা হলে আমাদের এতো দূর্ভোগ পোহাতে হত না।

জুয়েল রানা নামে এক ব্যক্তি বলেন, বাচ্চার আঘাত জনিত কারণে চিকিৎসাসেবা নিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসেছিলাম। কিন্তু রেডিওগ্রাফির কোন ব্যাবস্থা না থাকায় জেলা শহরে যেতে হয়েছে আমাকে। সাফিয়া আক্তার নামে এক নারী বলেন, মেয়দের গর্ভকালীন সময়ে অনেক সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় আমারা সেই সেবাটা পাচ্ছি না। আমাদের দাবী অচিরেই যেন সিজারিয়ান ব্যবস্থাসহ সকল সংকট কাটানো হয়। সুরেন্দ্র দাস নামে অপর আরেক ব্যক্তি বলেন, আমার স্ত্রীর বাচ্চা প্রসবের তারিখ নিকটে হওয়াতে তাকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়েছিলাম। সেখানে চিকিৎসককে দেখানোর পর বেশ কয়েকটি পরীক্ষার প্রযোজন হয়। সেখানে এসব পরিক্ষার ব্যাবস্থা না থাকায় পৌরশহরের একটি ক্লিনিকে এসব পরীক্ষা ও সিজারিয়ান অপারেশন করাতে হয় আমাকে। এতে আমার অনেক টাকা খরচ হয়েছে।

এ বিষয়ে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.ইকবাল হোসেন বলেন, আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সটিতে চিকিৎসকসহ বেশ কিছু পদ শুণ্য রয়েছে। সংকট রয়েছে সরঞ্জামেরও। বিষয়টি আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করে চাহিদা পত্র পাঠিয়েছি। এগুলো অনুমোদন হয়ে আসলে দ্রুত এসব সংকট কেটে যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ
© All rights reserved © 2024 sadhinbarta.com