সাদিয়া সুলতানা: নেত্রকোনা
একের পর এক প্রতিশ্রুতি দিয়ে এমপি হয়েও মিলে নাই এই অজপাড়া গ্রামের অবহেলিত মানুষদের স্বপ্ন পূরণ। বলছিলাম নেত্রকোনা কলমাকান্দা বড়খাপন ইউনিয়নের বাসিন্দাদের কথা। তবে এবার আশায় এবং ভরসা নিয়ে দাবি জানিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ সদস্য মোশতাক আহমেদ রুহী এমপির কাছে। নেত্রকোনা কলমাকান্দা উপজেলার বড়খাপন ইউনিয়নের গনাই নদী নামে পরিচিত এলাকাবাসীর কাছে, কিন্তু কাগজে লিখা উব্দাখালি। অনেক কৃষক গনাই নদীর ওপারের চরে জমি চাষ করেন, এ জন্য তাদের নৌকায় উব্দাখালি পাড়ি দিতে হয়। এ যাতায়াতের জন্য বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে বলে তাদের অভিযোগ। শুকনো মৌসুমে পায়ে হেটে চলাচল করলেই ১০ থেকে ২০ টাকা গুনতে হচ্ছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা এভাবেই লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। বড়খাপন ইউনিয়নে উব্দাখালি নদী প্রতি বছর উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে ডাকে নিয়ে আসেন বলে গ্রামবাসী দাবি। নৌকা চলাচলের ক্ষেত্রে ১০ টাকা এবং বাইক পারাপারের ক্ষেত্র ২০ টাকা দিতে হয়। কিন্তু শুকনো মৌসুমে পায়ে হেঁটে এপার, ওপারের বাসিন্দারা রাত-দিন চলাচল করতে হয়। বড়খাপন বাজার এবং নেত্রকোনা কলমাকান্দা ব্যবসার কাজে হাট বাজারের জন্য এই নদী পাড়ি দিতে হয়। বড়খাপন খেয়াঘাট থেকে ইজারাদারদের নৌকায় চড়লে সরকার নির্ধারিত ভাড়া দেওয়ার নিয়ম আছে। তবে শুকনো মৌসুমী ক্ষেত্রেই পায়ে হেঁটে আদায় করা হচ্ছে বাড়তি টাকা। তবে ইজারাদারদের দাবি, উপজেলা প্রশাসন থেকে ঘাটের সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করা হয়নি পরিবহন ক্ষেত্রে না পা হেটে চলাচলের ক্ষেত্রে টাকা দিতে হবে। সীমানার মধ্যে ইজারাদার ফেরদৌস নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন সোনা মিয়া। সে জন্য সাধারণ জনগণের কাছ থেকে টাকা আদায় করছেন বলে জানান। ফেরদৌস বড়খাপন ইউনিয়নের খেয়াঘাট থেকে এপারে যাতায়াতকারী কৃষক আবুল বিশ্বাস, গফুর, রহিম, হাশেম, শামসুল, কুদ্দুস, আবু সিদ্দিক, উব্দাখালি ওপারে বিস্তীর্ণ চরে বর্গা নেওয়া প্রায় ১০ বিঘা জমিতে আবাদ করে সংসার চালান তিনি। নদী শুকনো থাকাই পায়ে হেটে চলাচল করেন প্রতিবারই আসা-যাওয়া হচ্ছে আর টাকা গুনতে হচ্ছে ১০ থেকে ২০ টাকা। প্রশ্ন রেখেছেন এলাকাবাসী এই চাঁদাবাজি কখন বন্ধ হবে। তারা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। প্রতিদিন তাদের অন্তত দুবার যাতায়াত করতে হয়। গফুরের মতো আরও অনেকেই শত কৃষক এবং ব্যবসায়িক রয়েছে। তবে এলাকাবাসী অতি শীঘ্রই একটি ব্রিজ স্থাপন করার জন্য দাবি জানিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এমপি মহোদয়ের কাছে। অনেকবার ব্রিজ হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে নদীতে ফিতা দিয়ে মাপ, সল্ট টেস্ট হয়েছে কিন্তু ব্রিজ হয়নি। এই অজপাড়া গ্রামে মানুষ কৃষি নির্ভরশীল ব্যবসার উপর জীবন চলে তাদের এবং স্কুল কলেজের মসজিদ মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রীরা যাতায়াতে নেই কোন সুব্যবস্থা, এভাবেই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। হাজারো গ্রামবাসী দাবি জানিয়েছেন কেয়া ঘাটে অতি দ্রুত একটি ব্রিজ স্থাপনের জন্য। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই অসহায় এবং অবহেলিত অজপাড়া গ্রামের মানুষের কষ্টের পরিত্যক্ত জীবন উন্মোচন করার জন্য।